কে যে কেন তর্কযোগ্যভাবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় বলা হয়, সেই দাবির সপক্ষে আরও এক যুক্তি দিলেন এই পর্তুগিজ তারকা। সুইস ক্লাব ইয়ং বয়েজের বিপক্ষে আজ মাঠে নামলেই চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৭৭ ম্যাচ খেলা হয়ে যেত রোনালদোর। যে রেকর্ড শুধু তাঁর সাবেক সতীর্থ, রিয়াল মাদ্রিদ ও এফসি পোর্তোর সাবেক গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াসের রয়েছে।
আজ ইয়ং বয়েজের বিপক্ষে মাঠে নেমে ক্যাসিয়াসের সে রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন রোনালদো। ক্যাসিয়াসের পাশাপাশি ইউরোপীয় অঙ্গনের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় এখন রোনালদোও ১৭৭টা ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। উপলক্ষ্যটা রাঙিয়েছেনও দুর্দান্ত এক গোল করে।
তবে রোনালদোর রেকর্ডের এই রাতে হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। উলটো ২-১ গোলে হেরে বসেছে তাঁরা। ম্যাচের ১৩ মিনিটে স্বদেশি ব্রুনো ফার্নান্দেসের সহায়তায় ইউনাইটেডের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ পুনরাভিষেকে গোল পেলেও, ৬৬ মিনিটে গোল শোধ করে দেন ইয়ং বয়েজের ক্যামেরুনিয়ান উইঙ্গার নিকোলাস এনগামালেউ। ম্যাচের একদম শেষ মূহুর্তে এসে গোল করে পাশার দান পালটে দেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রাইকার জর্ডান সিবাতচু। ফলে এক পয়েন্টও জোটেনি রোনালদোদের কপালে।
তবে ম্যাচ হারের পেছনে নিজেকে দোষ দিতেই পারেন ইউনাইটেডের ইংলিশ রাইটব্যাক অ্যারন ওয়ান-বিসাকা। ৩৫ মিনিটে তিনি লাল কার্ড দেখে মাঠ না ছাড়লে হয়তো প্রায় এক যুগ পর ইউনাইটেডের জার্সি গায়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলতে নেমে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তেন রোনালদো! সেটা আর হল কোথায়!
নিজেকে দোষ দিতে পারেন ইংলিশ মিডফিল্ডার জেসি লিনগার্ডও। ম্যাচের ৭২ মিনিটে রোনালদোর জায়গায় এই লিনগার্ডকেই মাঠে নামান হয়েছিল। ম্যাচের একদম শেষ মূহুর্তে লিনগার্ডের এক ভুল ব্যাকপাসের সুযোগ নিয়েই তো জয়সূচক গোলটা করে বসেন সিবাতচু! কী কুক্ষণে রোনালদোকে উঠিয়ে লিনগার্ডকে নামিয়েছেন, এই কষ্টে আজ ইউনাইটেড কোচ ওলে গুনার সুলশারের ঘুম হবে কি না, কে জানে!
গোটা ম্যাচে ইয়ং বয়েজের গোলপোস্ট বরাবর দুটি শট মেরেছে ইউনাইটেড। দুটিই রোনালদোর কল্যাণে। ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর থেকে এত কম শট ইউনাইটেড কখনও কোনো চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে মারেনি। বলা যেতেই পারে, রোনালদো একা কী করবেন!
0 Comments